Advertisement

পাট কাটার মেশিনের দাম কত,পাট কাটা মেশিন,পাট ছাড়ানো মেশিন দাম কত


 কৃষি বিশেষজ্ঞণন বলেছেন, নতুন উদ্ভাবিত পাটের ছাল ছাড়ানোর মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে অত্যন্ত উন্নতমানের পাট উৎপাদন করে কৃষকদের বেশী লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সোনলী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

পাট প্রাকৃতিক। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় পাট জৈব-নিম্ননযোগ্য। পাটের ব্যাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। আপনি পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন কারণ এগুলি সমস্ত উদ্দেশ্যে যেমন গয়না বহন, উপহার ইত্যাদির জন্য পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়।

পাটের ব্যাগ শক্তিশালী, হালকা, টেকসই এবং সাশ্রয়ী। এগুলি কৃষি পণ্য বহনের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

পাটের ব্যাগগুলি UV সুরক্ষিত এবং খাদ্য পণ্য বহনের জন্য নিরাপদ। তারা বৈশিষ্ট্য বিরোধী স্ট্যাটিক. ট্রেন্ডি, আলংকারিক এবং মুদ্রিত পাটের ব্যাগের ভারতের বাজারেও পর্যটকদের মধ্যে ভালো চাহিদা রয়েছে। পাটের ব্যাগ অনেক ব্র্যান্ড দ্বারা প্রচার করা হচ্ছে এবং দীর্ঘস্থায়ী তাই গ্রাহকদের চাহিদা রয়েছে।

বগুড়ার যন্ত্রবিদ আমির হোসেন দ্রুত পাট কাটতে অটোকাটিং মেশিন এবং বাকল ছড়াতে অটোরিবন রেটিং মেশিন তৈরি করেন। সস্তা, হালকা, টেকসই এবং সহজে পরিবহনযোগ্য এই দুটি মেশিন তৈরি করে তিনি পাট চাষিদের দুর্ভোগ লাঘব করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের চাষ ও উৎপাদন বেড়েছে। উত্তরবঙ্গে প্রায় ২০টি নতুন পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার ৭২ লাখ ৫০ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে ৭২ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। আঁশ পেতে পাট কেটে ছাল ছড়াতে প্রায় ৩ মিলিয়ন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এই 3 মিলিয়ন শ্রমিককে 1 মাস ধরে পাট কাটতে এবং ধোয়াতে হয়। পাট ধোয়ার জন্য শ্রমিক না থাকায় আঁশ নিম্নমানের হয় এবং নষ্ট হয়ে যায়। কমেছে পাটের দাম। মেশিনে পাটের কাটিং ও বাকল ছড়িয়ে দিতে পারলে পাটের গুণগত মান উন্নত হবে। ভালো মানের পাটের চক পাওয়া যায়।

এভাবে ছাড়ানোর ছালগুলোকে স্বল্প পানিতে বা পৃথক করা বাকলগুলাকে দুইভাবে পচানো যায়- ১. বড় মাটির চারিতে বাকল জাগ গোলাকার মোড়া বেঁধে সাজিয়ে রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে চারিটি ভরে দিতে হয়। একটি বড় চারিতে প্রায় ৩০ কেজি ছাল বা বাকল পচনো যায়। ২. যদি আশপাশে ছোট ডোবা বা পুকুর বা খাল কম গভীরতা সম্পন্ন জলাশয় থাকে তবে ছালগুলো গোলাকার মোড়া বেঁধে একটি লম্বা বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে পানির মধ্যে ডুবিয়ে পচানো যায়। এভাবে অল্প পানিতে খুব কম সময়ে পচন প্রক্রিয়াসম্পন্ন হয়। পচন সময় কমানের জন্য ১০০০ কেজি কাঁচা ছালে জন্য ১ সের বা প্রায় ১ কেজি ইউরিয়া সার পচন পানিতে মিশিয়ে দিয়ে অথবা একটি ছোট বালতি বা হাঁড়িতে দুই একটি পাট গাছ ছোট ছোট টুকরা করে আগেই পচিয়ে নিয়ে পরে ছাল পচানোর সময় ওই পানি মিশিয়ে দিতে হয়। বাঁশের হুকের পরিবর্তে সিংগেল-ডাবল রোলার রিবনারের সাহায্যে একই ভাবে পাটের রিবনিং করা যায়। পরে ছালগুলোকে পরিমাণ সাইজের গোলাকার মোড়া বাঁধতে হবে এবং পাট খড়িগুলো শুকিয়ে নিতে হবে। তবে ‘ডাবল রোলার রিবনারের’ সাহায্যে ছাল ছাড়ানো বেশি সুবিধাজনক।

দেশী পাটের বয়স ১০৫-১১০ দিন হলে পাট কাটতে হবে। তোষা পাটের বয়স ১০০-১০৫ দিন হলে পাট কাটতে হবে। পাট কাটার পরে পাতা ঝরায়ে পাট গাছের গোড়ার অংশে ৩-৪ ইঞ্চি পরিমাণ একটি কাঠ-বাঁশের হাতুড়ি বা মুগুর দিয়ে থেঁতলিয়ে নিতে হবে। থেঁতলানো কয়েকটি গাছ (৪-৫টি) রিবনারের ২ রোলারে মাঝখানে রেখে থেঁতলানো ছালগুলোকে ২ ভাগ করে রোলারেরর সামনের দিকে থেকে বাকিয়ে নিয়ে পেছনের দিক থেকে টান দিতে হবে। এত পাট কাঠি সামনের দিকে চলে যাবে এবং পাট গাছের ছালগুলো হাতে থেকে যাবে। ছালগুলোকে একত্রিত করে বান্ডিল/মোড়া বাঁধতে হবে যেন পাট ধোয়ার সময় সহজে খোলা যায়। বান্ডিল/মোড়াগুলোকে একত্রিত করে পূর্বে তৈরিকৃত গর্ত বা মাটির চাড়িতে জাগ দিতে হবে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের রিবন পদ্ধতির গবেষণাপ্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১ একরে উৎপাদিত পাটের রিবন পচাতে ১৬,০০০ গ্যালনের মতো পানি প্রয়োজন হয়।


Post a Comment

0 Comments