Advertisement

কাঠ বাদাম এর দাম,ভেজানো কাঠবাদাম উপকারিতা,প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত,কাঠ বাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে,কাঠ বাদাম ছবি

 


বাদাম একটি উচ্চ-পুষ্টি পণ্য। এটি প্রধানত দ্রবণীয় চিনি, মাখন এবং প্রোটিনের উৎস। এটি স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর এবং মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা পালন করে।কাঠ বাদাম প্রতিটি নুডলে একটি ছোট বাদামের খোসা থাকে, যা খাবারে দ্রুত চিবিয়ে খাওয়া যায় বা বাদামের মাখন বা তেল দিয়ে খাওয়া যায়।আখরোট আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, কোলেস্টেরল কমায় এবং পুরো শরীরকে শক্তিশালী করে। স্বাস্থ্যকর খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বাদাম জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

কাঠবাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল সমূহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ এবং জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। মানুষের রক্তে এইচডিএল (HDL) এর মাত্রা কম এবং এলডিএল (LDL) এর মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বেশি মাত্রার LDL স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনো আনস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সাথে সাথে কাঠবাদাম পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করে।কাঠবাদামে থাকা পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে রয়েছে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি পুষ্টিগুণ রিবোফ্লাভিন এবং এল ক্যারনিটিন। এই উপাদান দুটি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, স্মৃতিভ্রম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বাড়ন্ত শিশুদের বুদ্ধির বিকাশের ক্ষেত্রে কাঠবাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৪-৬ টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে । 

নিয়মিত কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে হার্ট ভালো থাকে। কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপকারী উপাদান। এই উপাদানগুলি হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন-ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্ট এটাক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে এবং ৫০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ (Fiber), যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা মতে, বাদাম খাওয়ার সাথে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাওয়ার যোগসূত্র আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন – কাঠবাদামে উপস্থিত ভিটামিন-ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্লাভিনয়েড, Polyphenols ইত্যাদি উপাদান স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের (Hypertension) কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনি ফেইলিওর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ হলো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। কাঠবাদাম রক্তে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। যা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এছাড়াও কাঠবাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এর ভিটামিন-ই (আলফা টোকোফেরল) উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। 

কাঠবাদামে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান মিনারেলস, উপকারী ফ্যাট এবং ভিটামিন ই এর প্রভাবে পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কাঠবাদাম পুরুষের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন এটি কোন ওষুধ নয়। যে পুরুষদের যৌন অক্ষমতা রয়েছে তারা চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কাঠবাদাম খেতে পারেন। নারীদের পিরিয়ড সাইকেল (Period Cycle) স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে। মেডিকেলের ভাষায় একে বলে মেনোপজ (Menopause)। মেনোপজ এর সময় মহিলাদের কিছু শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। যেমন – মেজাজ খিটখিটে হওয়া, জ্বালাপোড়া, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি। এই সময়ে কাঠবাদাম খেলে এতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান মেনোপজ এর সমস্যা কিছুটা কমিয়ে ফেলে। এছাড়াও এই সময় নারীদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। যার ফলে অনেকের ক্ষেত্রে হাড় ক্ষয় রোগ (Osteoporosis)  হয়ে থাকে। এই রোগ প্রতিরোধে কাঠবাদাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে গর্ভকালীন সময়ে গর্ভস্থ সন্তানের জন্মগত ত্রুটি (Birth Defect) হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিড এবং ভিটামিন-বি, যার অভাবে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি হয় । তাই ডাক্তাররা এই ত্রুটি প্রতিরোধ করার জন্য গর্ভধারণের কয়েক মাস আগে থেকে শুরু করে গর্ভকালীন সময়ে ফলিক এসিড, ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের নির্দেশ দেয়। কাঠবাদাম গর্ভকালীন সময়ে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময়ে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কাঠবাদাম প্রচুর পরিমাণ আঁশ জাতীয় খাবার, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে এই সময়ে কাঠবাদাম কতটুকু পরিমান খাবেন তা অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের (Gynecologist) থেকে পরামর্শ নিবেন। 

কাঠবাদামে বিদ্যমান প্রোটিন, মিনারেলস (ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিঙ্ক ইত্যাদি) হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। দাঁত মজবুত করতে ফসফরাস ভূমিকা রাখে। কাঠবাদামে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, হাড়ের গঠন এবং ঘনত্ব ঠিক রাখতে যেসব পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তা কাঠবাদাম থেকে পাওয়া যায়। তাই দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নিয়মিত কাঠবাদাম খান। অনেকেরই ধারণা কাঠবাদাম খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। এই ধারণাটি ভুল। কাঠবাদামে উপস্থিত চর্বি মূলত স্বাস্থ্যসম্মত চর্বি (Healthy Fats) এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ।  কাঠবাদামে তুলনামূলক কম কার্বোহাইড্রেট আছে। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার মানুষের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ। কাঠবাদামে তুলনামূলক কম ক্যালোরি এবং অধিক পরিমাণে ফাইবার থাকায় সহজেই পেট ভরে যায়। কিছু গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে, কাঠবাদামে রয়েছে ক্ষুধা কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা। তাই ওজন কমাতে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ কাঠ বাদাম খাবেন। কাঠবাদামে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই শরীরের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে থাকা কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সেই সাথে শরীরে যাতে কোন ক্ষতের সৃষ্টি না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখে। কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই কাঠবাদাম খাবেন। 

বাদাম হৃদপিণ্ড ও রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বাড়াহৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করেচোখ, ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য  করেহজম প্রক্রিয়া মজবুত করেমস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ওজন কমাতে সাহায্য করেবিভিন্ন ধরনের ফাংগাল ও ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করেক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে

Post a Comment

0 Comments