Advertisement

তলপেটে ব্যথা কি,হঠাৎ তলপেটে ব্যথার কারণ,তলপেটে ব্যথা কমানোর উপায়,অসময়ে তলপেটে ব্যথা


 এন্ডোমেট্রিওসিস’ বা অসময়ে তলপেটে সার্বক্ষণিক ব্যথা হলো মেয়েদের এক ধরনের অসুখ। জরায়ুর ভেতরের দিকের আবরণের নাম হলো এন্ডোমেট্রিয়াম।জরায়ুর ভিতরের একটি স্তর হল এন্ডোমেট্রিয়াম। প্রতি মাসে জরায়ুর এই এন্ডোমেট্রিয়াম অংশের স্তর খসেই ঋতুস্রাব হয়। সেই রক্ত সন্তানপ্রসবের পথ দিয়ে জরায়ু থেকে বেরিয়ে শরীরের বাইরে চলে আসে। কিন্তু এন্ডোমেট্রিয়াম জরায়ুর বাইরে তলপেটের যে কোনও জায়গায় বা শরীরের অন্য কোথাও চলে এলে তাকে বলে এন্ডোমেট্রিয়োসিস। শরীরের অন্য কোথাও এন্ডোমেট্রিয়াম চলে গেলে সেখানে ওই স্তর খসে যে রক্তপাত হয়, তা বেরোতে না পেরে সেই স্থানেই জমাট বাঁধতে শুরু করে। আশপাশের কোষগুলিতে চাপ তৈরি হয়। এর থেকে সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ডিম্বাশয়ে, তলপেটের পিছনে, মূত্রথলিতে, বর্জ্য নির্গমনের পথে, সন্তান নির্গমনের পথের গোড়ায় এন্ডোমেট্রিয়াম বেশি দেখা যায়। এই রোগকেই বলা হয় এন্ডোমেট্রিয়োসিস।
ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে কোনোভাবে প্রবেশ করলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এতে রোগী পেটে ব্যথাবোধ করেন। তাকে বারবার বাথরুমে যেতে হয়। সেইসাথে পেটে জ্বালাপোড়া এবং মূত্রের রঙয়ের পরিবর্তন তো আছেই।

মূত্রত্যাগ করলেও পেটে স্বস্তি পাওয়া যায় না এক্ষেত্রে। ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে রোগী মানসিক অস্থিরতায় ভুগে থাকেন।

মূত্রনালীতে পাথর হলে পেট ব্যথার মাধ্যমে সেটা জানান দিতে পারে। সেইসাথে প্রস্রাবের রং বদলে যায় এক্ষেত্রে। এর সাথে রক্তপাতও দেখা দেয়।

বাকি সবগুলোর চাইতে একটু বেশি ভয়ংকর এই মূত্রথলীর ক্যানসারে রোগী পেটে সবসময় চাপ অনুভব করলেও প্রস্রাব করতে পারেন না। প্রস্রাবের সাথে লাল, গোলাপি ও অন্যান্য রংয়ের তরল বের হয়। প্রস্রাব করার সময় পেটে জ্বালাপোড়াও দেখা দেয়।

গর্ভের পাশে পানি ভর্তি সিস্ট এই ব্যথার কারণ করে পারে। এগুলো কোনো ক্ষতি না করলেও দূর্বলতা, পেটব্যথা ও প্রস্রাবে জ্বালাপোরার কারণ হয়।

গর্ভের চারপাশে তৈরি হওয়া লাম্পসের কারণে ইউটেরিন ফাইব্রয়েড তৈরি হয়। এক্ষেত্রে পিরিয়ড ছাড়াও রক্তপাত হতে দেখা যায়। সাথে পেটব্যথা তো থাকেই।

জরায়ু গর্ভের বাইরে বের হয়ে গেলে এন্ডিওমেট্রিওসিস হয়ে থাকে। পেটব্যথা, ডায়রিয়া এবং সর্দি এর প্রধান লক্ষণ।

সন্তান জন্মদানে কাজ করে এমন সব অঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এক্ষেত্রে। রক্তপাতের সাথে থাকে প্রচুর পেটব্যথা। জ্বরও থাকতে পারে একইসাথে।

আমাদের পরিপাক তন্ত্রে লেকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া এবং বিফিডো ব্যাকটেরিয়া থাকে। এরা আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে। কিন্ত বাইরে থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া পরিপাক তন্ত্রে প্রবেশ করলে সংক্রমন সৃষ্টি করে। এতে আমাদের স্বাভাবিক হজম ক্ষমতা ব্যাহত হয়। সংক্রমন তীব্র মাত্রায় পৌঁছলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন - 

  • পাতলা পায়খানা 
  • পেটে যন্ত্রণা ও খিঁচুনি
  • বমিভাব 
  • বমি 
  • জ্বর

এই ধরনের রোগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়টিক এবং অন্যান্য ওষুধ খাওয়া উচিত। বারংবার পাতলা পায়খানা এবং বমি হলে শরীরে জলে জোগান কমে যায়। সেই ক্ষেত্রে রোগী কে নুন-চিনির জল (ORS) নিয়ম করে খাওয়ান ভীষণ জরুরী। 

ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও অন্যান্য জীবাণু (যেমন ভাইরাস, ছত্রাক) এবং পরজীবী পেটে সংক্রমন তৈরি করতে পারে। এই সকল ক্ষেত্রেও দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা জরুরী

গলব্লাডার একটি ছোট্ট নাসপাতি-র আকারের অঙ্গ যেটি আমাদের পেটের ডান দিকে লিভারের নিচে অবস্থান করে। এর থেকে ক্ষুদ্রান্তে পিত্ত নিঃসৃত হয় যা হজমে সাহায্য করে। পিত্ত লিভার থেকে নিঃসৃত অতিরিক্ত কলেস্তরেলকে (cholesterol) দ্রবীভূত করে। কিন্তু পুরোপুরি দ্রবীভূত না করা গেলে অতিরিক্ত কলেস্তরেল গলব্লাডারের মধ্যে ক্রিস্টাল আকারে জমতে থাকে। ধীরে ধীরে এই ক্রিস্টাল শক্ত পাথরের আকার নেয়। গল ব্লাডারে পাথর বিভিন্ন কারনে হতে পারে। এদের মধ্যে প্রধান কারন হোল অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস। এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা সার্জারি করে পিত্তথলি থেকে পাথর বের করে দেওয়া। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না হলে এর থেকে গলব্লাডারের ক্যান্সারও হতে পারে।


Post a Comment

0 Comments